###০০০১#ঃ তিনটি স্কেলে পরম শূন্যের মান নিম্নরূপঃ
- সেলসিয়াস স্কেল: -273.15°C
- ফারেনহাইট স্কেল: -459.67°F
- কেলভিন স্কেল: 0 K
পরম শূন্য হলো তাপমাত্রার একটি তাত্ত্বিক মান, যেখানে কোনো বস্তুর অণু বা পরমাণুর গতিশক্তি একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।
###০০০২#ঃ উদাহরণঃ 300 K তাপমাত্রার 2 kg পানির মধ্যে 400 K তাপমাত্রার 5 kg তপ্ত লোহার টুকরা রেখে দেওয়া হলো। নির্ণয় করো পানির তাপমাত্রা কত হবে? (লোহার আপেক্ষিক তাপ 450 J kg-1 K-1)
সমাধানঃ ধরা যাক, এই পানির তাপমাত্রা কমে যা উহার প্রাথমিক তাপমাত্রা ছিল, তাই দুটি বস্তু আপাতভাবে তাপকে T তাপমাত্রায় পৌঁছায়। সুতরাং ধরা যাক এই তাপমাত্রাটি T, এবং ধরা যাক পানি T1 থেকে T তাপমাত্রায় বেড়ে T তাপমাত্রায় পৌঁছায়।
তাপদানের, পানিরে তাপিত করার প্রয়োজনীয় তাপঃ Q2 = ms2 (T - T1) এবং, ধরা যাক তপ্ত লোহার ঠাণ্ডা হতে Q1 = ms1 (T2 - T) ব্যালান্সিং অনুযায়ী, Q1 = Q2
অর্থাৎ, m1 s1 (T2 - T) = m2 s2 (T - T1) অথবা, 2 x 4200 X (T - 300) = 5 X 450 X (400 - T) বা, T = 321.13 K
2.5 পদার্থের অব্যাহত পরিবর্তনে তাপের প্রভাব
আমরা ইতোমধ্যেই দেখেছি যে, সব পদার্থের ইন্টারনাল এনর্জি অর্থাৎ অন্তঃস্থ তাপমাত্রা থাকে। আবার সঠিক শর্তে কোনো পদার্থ তাপ গ্রহণ করতে পারে, আবার তাপও মুক্তি দিতে পারে। এই অবস্থা সেই পদার্থের উত্তাপের পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত থাকে। তবে এমন কিছু অবস্থাও আছে, যেক্ষেত্রে পদার্থে তাপ শোষণ বা মুক্তি হতে পারে কিন্তু সেটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সঙ্কলিত থাকে। এর উদাহরণ হতে পারে বরফ গলে গিয়ে তরল পানিতে পরিণত হচ্ছে, অথবা পানি বাষ্প হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই পর্যায়ে তাপমাত্রা পরিবর্তন হয় না। এই কারণে, এমন পরিবর্তনে তাপের কার্যপ্রবাহ হয় যদিও সেটি সঠিকভাবে পদার্থের তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটায় না। দ্রবীভূতকরণ, বাষ্পায়ন এবং ঘনীভবন এই তিন অব্যাহত পরিবর্তনের সবচেয়ে সাধারণ উদাহরণ।
বিষয়ঃ
কঠিন থেকে তরল এবং তরল থেকে কঠিনঃ
একটি কঠিন পদার্থ যখন তাপ দেওয়া হয়, তখন তার তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তাপমাত্রা একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছানোর পরে পদার্থটি তরলে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়াটিকে গলন (melting) বলা হয়। এক্ষেত্রে তাপমাত্রার বৃদ্ধি কোন দীর্ঘ সময় ধরে না হয়ে তাপমাত্রা একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না সমগ্র কঠিন পদার্থটি তরলে পরিণত হয়। এই অবস্থার ফলে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থটি তরল পদার্থে রূপান্তরিত হয়। এখানে উল্লেখযোগ্য হলো যে কঠিন থেকে তরল অবস্থায় পরিণত হওয়ার সময় তাপমাত্রা স্থির থাকে, যদিও তাপ যোগ করতে হয়। কিন্তু তাপমাত্রা আরেকটু বাড়ানো হলে তা দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হবে। এই অবস্থাকে সলিডিফিকেশন (solidification) বলে। যখন তরল পদার্থের মধ্যে তাপ ধীরে ধীরে কমিয়ে দেওয়া হয়, তখন তরল পদার্থের মধ্যে স্ফটিকাকার অংশ তৈরি হয়। স্ফটিক থেকে তরল অবস্থায় পরিণত হওয়ার সময় তাপমূখে নির্দিষ্ট মাত্রায় তাপ চলে যায়, এটি সলিডিফিকেশনের একটি উদাহরণ।
তরল থেকে বাষ্প এবং বাষ্প থেকে তরলঃ
যখন কোন তরল পদার্থকে উত্তাপ দেওয়া হয় এবং তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, একসময় তার স্ফুটনাঙ্ক পর্যায় আসে। এই পর্যায়ে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় তরল পদার্থটি বাষ্প হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়াকে বাষ্পায়ন (vaporization) বলে। তাপমাত্রা নির্দিষ্ট বিন্দুতে থাকলে বাষ্পায়ন ঘটতে থাকে এবং তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকে। স্ফুটনাঙ্ক পয়েন্ট হলো সেই বিন্দু যেখানে তরল থেকে বাষ্পে রূপান্তরিত হয়, এটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় হয়। একইভাবে, কোন বাষ্পকে যখন ঠাণ্ডা করা হয়, তখন তা আবার তরলে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়াকে ঘনীভবন (condensation) বলে।
কঠিন থেকে বাষ্প এবং বাষ্প থেকে কঠিনঃ
কিছু কঠিন পদার্থ তাপ দেওয়ার পরে সরাসরি তরল না হয়ে, স্ফুটনাঙ্ক পর্যায়ে পৌঁছার আগে বাষ্পে রূপান্তরিত হয়। এই প্রক্রিয়াকে সাবলিমেশন (sublimation) বলে। এটির মাধ্যমে কঠিন পদার্থ সরাসরি বাষ্পে রূপান্তরিত হয় এবং তাপমাত্রা নির্দিষ্ট বিন্দুতে থেকে যায়, কোন পরিবর্তন হয় না। আবার সাবলিমেশন থেকে কঠিন পদার্থে ফেরত আসার প্রক্রিয়াও ঘটে। এই পর্যায়ে তাপমাত্রা সঠিকভাবে একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে থাকে, তাই পরিবর্তন ঘটে না। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থা যা অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়।
উদাহরণঃ 300 K তাপমাত্রার 2 kg পানির মধ্যে 400 K তাপমাত্রার 5 kg তপ্ত লোহার টুকরা রেখে দেওয়া হলো। নির্ণয় করো পানির তাপমাত্রা কত হবে? (লোহার আপেক্ষিক তাপ 450 J kg-1 K-1)
সমাধানঃ দেওয়া হলো
ধরা যাক T তাপমাত্রা
হিসাব অনুযায়ী,
Q = m (T1 - T2) s
আপেক্ষিক তাপের একটি সেলসিয়াস স্কেল 1kg-1 C-1 এবং কেলভিন স্কেল Jkg-1 K-1
উদাহরণঃ কাঠের আপেক্ষিক তাপ 840 J kg-1 K-1 এবং 3 kg কাঠের তাপমাত্রা 30 K বৃদ্ধিতে কত জুলের তাপ প্রাপ্ত হবে?
সমাধানঃ প্রয়োজনীয় তাপ Q = ms (T1 - T2) = 3 x 840 x 30 = 71280 J
উদাহরণঃ 300 K তাপমাত্রায় রাখা 2 kg পানিতে 5kg তপ্ত লোহা রেখে তাপমাত্রা 310 K হল। দেওয়া হলো 84000 J তাপ। পানির আপেক্ষিক তাপ কত?
সমাধানঃ ধরা যাক Q = ms (T1 - T2) অথবা আপেক্ষিক তাপ, S = Q / (m (T1 - T2)) = 84000 / 2 (310 - 300)) = 4200 J/kg/K-1
বিষয়ঃ
295 K তাপমাত্রায় রাখা 5 kg পানিতে 63000 J তাপ দিলে পানির তাপমাত্রা কত হবে?
সমাধানঃ পানির তাপমাত্রা = ms (T1 - T2) = Q/ms = 295 = 63000/(5x4200) = 298 K
উদাহরণঃ 10kg তপ্ত লোহার ক্ষমতা 10kg পানি দিয়ে নির্ণয় করা হলো। লোহারের আপেক্ষিক তাপ 450 J/kg/K এবং পানির আপেক্ষিক তাপ 4200 J/kg/K
সমাধানঃ লোহারের ক্ষমতা = C = ms = 10 x 450 = 4500 J/kg/K-1
পানির আপেক্ষিক তাপ = C = ms = 10 x 4200 = 42000 J/kg/K-1
গ্যাসের ক্ষমতাঃ
শীতকালের গ্যাসের জন্য অনেক সময় আমাদের কাচের কাপড় দিয়ে গ্যাসের স্থানে রাখা হয়। ফ্লুট গ্যাসের পরিবর্তনে শীতকালীন গ্যাস দিয়ে ঢেকে রাখা হয় এবং এতে একটি কাচের পাত্রে গ্যাসের তাপমাত্রা ক্রমাগত বদলাতে থাকে।
এর ফলে আমাদের কাচের পাত্রটি তাপকে ধরে রাখে এবং এর কারণে গ্যাসের তাপমাত্রা কমে যায়। এতে তাপ কমে যায়।
বিষয়ঃ
Q = ms (T1 - T2) s
উদাহরণঃ 4 mole হাইড্রোজেন বা 4 mole নাইট্রোজেন বা 4 mole যে কোনো গ্যাসের জন্য একই ফ্যাক্টর ব্যবহার করা হয়।
আমরা এখানে গ্যাসের জন্য প্রসারণ সংখ্যা দিয়ে ব্যবহার করতে পারি। আমরা জানি, একটি গ্যাস যখন চলাচল করে তখন তাপমাত্রা নির্দিষ্ট পরিমাপে থাকে এবং সেখান থেকে একেকটি অংশ তাপশক্তি ব্যবহার করে এবং প্রভাবিত হয়।
###0003#: "ফটোসিন্থেসিস কী?
ফটোসিন্থেসিস হল সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে উদ্ভিদ নিজস্ব খাদ্য তৈরি করে। এটি উদ্ভিদের কোষের ক্লোরোপ্লাস্টে ঘটে, যেখানে সূর্যের আলো ক্লোরোফিল দ্বারা শোষিত হয়। উদ্ভিদ সূর্যের আলো থেকে শক্তি ব্যবহার করে বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মাটি থেকে জল গ্রহণ করে গ্লুকোজে পরিণত করে, যা উদ্ভিদ খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে। অক্সিজেন একটি উপজাত হিসেবে মুক্তি পায়। এই প্রক্রিয়াটি কেবল উদ্ভিদের বৃদ্ধি সাধনেই সহায়ক নয়, বরং এটি অক্সিজেনও উৎপন্ন করে, যা প্রাণী এবং মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
***0001**: এক কথায় উত্তর:
- বিজ্ঞানের জ্ঞানকে জীবনের প্রয়োজনে ব্যবহার করলে তাকে কী বলা হয়?
উত্তর: প্রযুক্তি - নিউক্লিয়ার শক্তিকেন্দ্রে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয় কোন জ্ঞান ব্যবহার করে?
উত্তর: পদার্থের ভরকে শক্তিতে রূপান্তরের জ্ঞান - বিজ্ঞান কিসের উপর নির্ভরশীল?
উত্তর: যুক্তি, পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষানিরীক্ষা
সংক্ষিপ্ত উত্তর:
বিজ্ঞান কী?
উত্তর: বিজ্ঞান হলো এমন একটি জ্ঞান, যা পরীক্ষানিরীক্ষা এবং যাচাইয়ের মাধ্যমে সত্যতা প্রমাণ করা যায়। এটি চিন্তা করার একটি পদ্ধতি, যেখানে সবকিছুর উপর প্রশ্ন করা হয় এবং সেই প্রশ্নের ব্যাখ্যাটাও যাচাই করা হয়।প্রযুক্তি কী?
উত্তর: বিজ্ঞানের জ্ঞানকে যখন জীবনের কোনো প্রয়োজনে প্রয়োগ করা হয়, তখন তাকে প্রযুক্তি বলে। প্রযুক্তি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে, আবার খারাপ দিকেও ব্যবহার হতে পারে।হরিপদ কাপালী কীভাবে বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিত হলেন?
উত্তর: হরিপদ কাপালী তাঁর ইরি ধানের ক্ষেতের উচ্চ ফলনশীল গাছগুলো আলাদা করে নতুনভাবে লাগিয়ে পরীক্ষা করেন। এতে দেখা যায় যে, ধানের ফলন বেশি হয়, যা পরে 'হরি ধান' নামে পরিচিত হয়।
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন:
বিজ্ঞানের চিন্তা-প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য কী?
- ক) বিজ্ঞান পরীক্ষানিরীক্ষা ছাড়া চলতে পারে।
- খ) বিজ্ঞান সবকিছুকে যুক্তি দিয়ে যাচাই করে।
- গ) বিজ্ঞান কোনো প্রশ্ন তোলে না।
- ঘ) বিজ্ঞান অনুমানের উপর ভিত্তি করে চলে।
উত্তর: খ) বিজ্ঞান সবকিছুকে যুক্তি দিয়ে যাচাই করে।
হরিপদ কাপালী কী ধরণের ধান চাষ করেছিলেন?
- ক) বোরো ধান
- খ) ইরি ধান
- গ) আমন ধান
- ঘ) আউশ ধান
উত্তর: খ) ইরি ধান
বিজ্ঞানের জ্ঞান প্রযুক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয় যখন:
- ক) এটি মানুষের কোনো কাজের জন্য প্রয়োগ করা হয়।
- খ) এটি পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়।
- গ) এটি ব্যাখ্যা করা হয়।
- ঘ) এটি আলোচনার বিষয়বস্তু হয়।
উত্তর: ক) এটি মানুষের কোনো কাজের জন্য প্রয়োগ করা হয়।
নিউক্লিয়ার বোমার উদাহরণ দিয়ে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
- ক) প্রযুক্তি সবসময় মানুষের উপকারে আসে।
- খ) প্রযুক্তি ভালো বা খারাপ দু’ভাবেই ব্যবহার হতে পারে।
- গ) বিজ্ঞানের জ্ঞান সবসময় ইতিবাচক হয়।
- ঘ) বিজ্ঞান বোমা তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়।
উত্তর: খ) প্রযুক্তি ভালো বা খারাপ দু’ভাবেই ব্যবহার হতে পারে।
হরিপদ কাপালীর বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার কোনটি?
- ক) উন্নতমানের সারের আবিষ্কার
- খ) উচ্চ ফলনশীল ধানের বীজ
- গ) ক্ষতিকারক মাদকের আবিষ্কার
- ঘ) নতুন ধরনের কীটনাশক
উত্তর: খ) উচ্চ ফলনশীল ধানের বীজ
***0002*: এক কথায় উত্তর প্রশ্ন:
১. উদ্ভিদ কীভাবে নিজের খাদ্য তৈরি করে?
- সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায়।
২. কোন উদ্ভিদে ক্লোরোফিল না থাকায় নিজের খাদ্য তৈরি করতে পারে না?
- পরভোজী উদ্ভিদ।
৩. যে উদ্ভিদ এক বছরের মধ্যে জীবনচক্র সম্পূর্ণ করে তাকে কী বলা হয়?
- একবর্ষজীবী উদ্ভিদ।
৪. কোন উদ্ভিদ শ্রেণি ফুল বহন করে না?
- অপুষ্পক উদ্ভিদ।
৫. উদ্ভিদের যৌন প্রজননের প্রক্রিয়ায় কোন কোষের মিলন ঘটে?
- পুং জনন কোষ এবং স্ত্রী জনন কোষের।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন:
১. উদ্ভিদ কত প্রকারের হতে পারে এবং কিভাবে ভাগ করা যায়?
- উদ্ভিদ বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে এবং তাদের ফুলের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির উপর ভিত্তি করে সপুষ্পক ও অপুষ্পক ভাগে ভাগ করা যায়। এছাড়া উদ্ভিদকে তাদের জীবনকালের ভিত্তিতে একবর্ষজীবী, দ্বিবর্ষজীবী, এবং বহুবর্ষজীবী হিসেবে ভাগ করা হয়।
২. কীভাবে উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধি ঘটে?
- উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধি যৌন ও অযৌন প্রজননের মাধ্যমে ঘটে। যৌন প্রজননে পুং জননকোষ ও স্ত্রী জননকোষের মিলনের ফলে বীজ সৃষ্টি হয়। অযৌন প্রজননে স্পোরের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটে।
৩. স্বভোজী ও পরভোজী উদ্ভিদ কীভাবে আলাদা হয়?
- স্বভোজী উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করতে পারে, যেমন ধান। পরভোজী উদ্ভিদ অন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভর করে, যেমন স্বর্ণলতা।
৪. উদ্ভিদ প্রজাতিকে কীভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়?
- উদ্ভিদের শ্রেণিবিভাগ সাধারণত তাদের আকার, আকৃতি, জীবনকাল, এবং পুষ্টি গ্রহণের পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে করা হয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. কোন উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না?
- ক. ধান
- খ. আম
- গ. স্বর্ণলতা
- ঘ. সেগুন
উত্তর: গ. স্বর্ণলতা
২. কোন প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধি হয়?
- ক. পরাগায়ন
- খ. সালোকসংশ্লেষণ
- গ. নিষেক
- ঘ. শ্বাস-প্রশ্বাস
উত্তর: ক. পরাগায়ন
৩. বীজ থেকে নতুন উদ্ভিদ তৈরি হওয়ার জন্য কোন প্রক্রিয়া প্রয়োজন?
- ক. সালোকসংশ্লেষণ
- খ. পরাগায়ন
- গ. নিষেক
- ঘ. প্রজনন
উত্তর: গ. নিষেক
৪. নিচের কোন উদ্ভিদ অপুষ্পক উদ্ভিদ?
- ক. ধান
- খ. নারিকেল
- গ. মস
- ঘ. আম
উত্তর: গ. মস
৫. কোন উদ্ভিদ শ্রেণি দীর্ঘ জীবনকাল সম্পন্ন?
- ক. একবর্ষজীবী উদ্ভিদ
- খ. দ্বিবর্ষজীবী উদ্ভিদ
- গ. বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ
- ঘ. সপুষ্পক উদ্ভিদ
উত্তর: গ. বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ
***0003*: এক কথায় উত্তর প্রশ্ন:
মেরুদণ্ডী প্রাণীদের কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়?
উত্তর: সাতটি।কোন শ্রেণির প্রাণী জলে-স্থলে উভয় পরিবেশে বাস করতে পারে?
উত্তর: উভচর।মানুষ কোন শ্রেণির প্রাণী?
উত্তর: স্তন্যপায়ী।পাখির কঙ্কাল কেমন হয়?
উত্তর: ফাঁপা অস্থিযুক্ত।প্রাণীদের মধ্যে বৃহত্তম অমেরুদণ্ডী দলের নাম কী?
উত্তর: আর্থ্রোপড।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন:
মেরুদণ্ডী প্রাণী কাদের বলা হয়?
উত্তর: যেসব প্রাণীর পিঠ বরাবর শক্ত শিরদাঁড়া বা মেরুদণ্ড থাকে, তাদের মেরুদণ্ডী প্রাণী বলা হয়। এরা কর্ডডাটা নামে পরিচিত এবং এদের অন্তঃকঙ্কাল হাড় ও তরুণাস্থি দিয়ে গঠিত।উভচর প্রাণী কীভাবে শ্বাস গ্রহণ করে?
উত্তর: উভচর প্রাণীরা তরুণ বয়সে ফুলকা দিয়ে এবং পরিণত বয়সে ফুসফুসের মাধ্যমে শ্বাস গ্রহণ করে।অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের মেরুদণ্ড থাকে না এবং এরা ৯৫ শতাংশেরও বেশি প্রাণীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।ক্রাস্টাসিয়ানদের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: ক্রাস্টাসিয়ানদের শক্ত বহিঃকঙ্কাল থাকে এবং তাদের প্রধানত সমুদ্রে পাওয়া যায়। কিছু প্রজাতি মিঠা জল ও মাটিতেও বাস করে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে কোন শ্রেণিতে সরীসৃপ অন্তর্ভুক্ত?
ক) পাখি
খ) উভচর
গ) স্তন্যপায়ী
ঘ) সরীসৃপ
উত্তর: ঘ) সরীসৃপপাখিদের কোন বৈশিষ্ট্যটি তাদেরকে উড়তে সাহায্য করে?
ক) আঁশযুক্ত ত্বক
খ) ফাঁপা অস্থিযুক্ত কঙ্কাল
গ) শক্ত চোয়াল
ঘ) তরুণাস্থি
উত্তর: খ) ফাঁপা অস্থিযুক্ত কঙ্কালনিম্নের কোনটি অমেরুদণ্ডী প্রাণীর উদাহরণ?
ক) হাতি
খ) কাঁকড়া
গ) কুমির
ঘ) তিমি
উত্তর: খ) কাঁকড়াউভচর প্রাণী কোন পরিবেশে বসবাস করতে পারে?
ক) শুধুমাত্র জলে
খ) শুধুমাত্র স্থলে
গ) জলে ও স্থলে উভয়ই
ঘ) আকাশে
উত্তর: গ) জলে ও স্থলে উভয়ইআরথ্রোপডের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
ক) মেরুদণ্ড নেই
খ) মেরুদণ্ড আছে
গ) ফাঁপা অস্থি
ঘ) শক্ত চোয়াল
উত্তর: ক) মেরুদণ্ড নেই
No comments:
Post a Comment